Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংস্কৃতি

ভাষা ও সংস্কৃতি

লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস অতি প্রাচীন নয়। তেমনি এ জেলার সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাসও অনেক পুরাতন নয়। কিন্তু জেলাবাসীর সংস্কৃতির গভীর ঐতিহ্য রয়েছে। সমুদ্র পথে আগত বিদেশী (তুর্কী মোগল, পাঠান, ফিরিঙ্গী) এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বসতি সমূহ জারি-সারি কীর্তন, যাত্রা ও কবিগানের প্রচলন ছিল। গৃহস্ত বাড়ী সমুহে বয়াতিগান ও পুঁথি পাঠের আসর ছিল জম-জমাট। পরবর্তিকালে যোগহয় যাত্রাপালা ও নাটক।

মূলতঃ লক্ষ্মীপুরে বৃটিশ আমলের ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের মুন্সেফী আদালত/চৌকি বসার পর শহুরে জীবনধারার পত্তন ঘটে এবং সংস্কৃুতি চর্চার নতুন ধারার সূচনা হয়। এতে শিক্ষিত সমাজ তথা আদালত পাড়ার মুন্সেফ ও উকিলগণের প্রধানতম ভূমিকা ছিল। এ ক্ষেত্রে মুন্সেফ হিসেবে বরিশালের প্রবোধ রায় এবং কলকাতার মহিমা রঞ্জন মিত্রের নাম পাওয়া যায়। তাদের সাথে স্থানীয় জমিদার ও ব্যবসায়ীগণ সহযোগিতা করেন। এ সময়ও কৃষি সমাজে স্ব স্ব সংস্কৃতি চর্চার ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। মুন্সেফ ও উকিলগণ নাগরিক জীবন বোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে ১৮৮৭ খ্রিঃ ইংলিশ স্কুল, ১৮৯৯ খ্রিঃ বালিকা স্কুল, ১৯১৯ খ্রিঃ টাউন হল (ক্লাব), ১৮৭২ খ্রিঃ উকিল বার, ১৮৯৯ খ্রিঃ বাণী রঙ্গালয় মঞ্চ স্থাপন করেন এবং খেলাধুলার জন্য প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা করেন। নিজেদের বাসা-বাড়ীতে সংগীত চর্চা, মন্দিরে কীর্তন, টাউন হল ও বানী রঙ্গালয়ে সংগীত, নৃত্য ও নাটক চর্চার ক্ষেত্র সৃষ্টি করেন। সমসাময়িক কালে দালালবাজারে জমিদারগণের আগ্রহে ঐতিহাসিক ঝুলন মেলা বসতো। এ মেলায় কলকাতা থেকে রকমারী পণ্যের দোকানের পাশাপাশি সার্কাস, নাগরদোলা, পুতুল নাচ ও যাত্রাদল আসতো। জমিদার বাড়ীতে ছিল নৃত্যগীতের আসর। তারপরও প্রজা সাধারণের জন্য প্রতিবছর এ মেলা বসতো।

উকিলদের উদ্যোগে ১৯২৬ খ্রি: জুন মাসে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম এসেছিলেন লক্ষ্মীপুর হাই স্কুল প্রাঙ্গনে। কবি দরাজ কন্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন: জাগরে চাষী ভারত বাসী, শিকল পরা ছল, দুর্গম গিরি কান্তার মরু ইত্যাদি। কবিকে সংবর্ধনার উপহার হিসাবে একখানা রূপার থালা ও রূপার বাটি উপহার দেয়া হয়। পরে কবি লক্ষ্মীপুর টাউন হলে যাএিযাপন করেন। ১৯৪১ খ্রিঃ শাখারীপাড়ার ডাঃ রমেশ চন্দ্র কর রক্ষাকালী অপেরা দল প্রতিষ্ঠা করেন। এদরে অভিনীত যাত্রাগুলোর বেশীর ভাগই ছিল ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় পালা। এ সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মুসলিম ড্রামাটিক ক্লাব’ যারা প্রতি সপ্তাহে একটি করে নাটক মঞ্চস্থ করতে থাকেন। তখনকার যুগে কোলকাতা সহ সারা বাংলাদেশে ৬ খানা পাকা মঞ্চ ছিল। যার মধ্যে একটি ছিল লক্ষ্মীপুরে। তখনকার সময় বাণী রঙ্গালয়, মন্দির, যুগীহাটা, লঙ্গর থানা, টাউন হলে নাটক হতো। বিশিষ্ট অভিনেতা ছিলেন খ্যাতনামা আইনজীবি কুন্তলাল কৃষ্ণ মজুমদার, রমনী মোহন গুপ্ত, অশ্বিনী কুমার চৌধুরী, গৌরাঙ্গ পেমের নরেন্দ্র চক্রবর্তী (নরা ঠাকুর), বুদাদা (আদালতের সামনে চায়ের দোকানদার), আবদুল হাকিম উকিল, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, লামচরীরমজু মিয়া, তমিজ উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ী মনু মিয়া, মিয়া বাড়ীর সুলতান মিয়া, শিশু শিল্পী ছিলেন ভূঞা বাড়ীরকোববাদ মিয়া ও মনা মুখার্জী (মজিবুল হক)।

১৯৪৭ খ্রি: ভারত বিভক্ত হয়ে গেলে গঠিত হলো পাকিস্তান ও ভারত। রক্ষণশীল পাকিস্থানে ধর্মীয় উন্মাদনায় গান বাজনা যাত্রা থিয়েটার বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন ওলামা হিন্দ নামের স্বার্থন্বেষী মৌলবাদী গোষ্ঠি জনগনকে ক্ষেপিয়ে তুলে। ভেঙ্গে ফেলা হল বাণী রাঙ্গালয়ের পাকা মঞ্চ, ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল মুসলিম ড্রামাটিক ক্লাব, বন্ধ হয়ে গেল পাবলিক লাইব্রেরী ও টাউন হলের কার্যক্রম নাটক, থিয়েটার, যাত্রা গান বাজনা ও সব ধরনের চিত্তবিনোদন। এ সময়ে লক্ষ্মীপুর শ্যাম সুন্দর জিউর আখড়ায় অনুষ্ঠিত ভারত বিখ্যাত যাত্রা পাটির আসরকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হল। এতে পুরোপুরি বিস্মৃত হয়ে পড়ে লক্ষ্মীপুরের সংস্কৃতিক অঙ্গন। এমতাবস্থায় সংস্কৃতিক বন্ধত্বের কালে কেউ কেউ যে চেষ্টা করেননি এ বন্ধাত্ব ঘোঁচাতে তা নয়, শত চেষ্টার পরেও তখন তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

১৯৫৪ খ্রি: মুসলীম লীগ হতে মনোনীত এম.এল.এ মরহুম হাকিম উকিলের সহযোগিতা নিয়ে তাঁর বাড়ীর দরজায় এক দল সংস্কৃতি কর্মী রাতারাতি মঞ্চ নির্মাণ পূর্বক পরেরদিন নিরাপদে নাটক মঞ্চস্থ করে। সাংস্কৃতিক বন্ধাত্বের পর এটাই লক্ষ্মীপুর বাজারে প্রথম নাটক। এ বন্ধাত্ব ঘোচনে অবদান রাখে গোলাম রহমান, তমিজউদ্দিন বেপারী বাড়ীর আজিজুর রহমান, লামচরীর আতিকুর রহমান, মোক্তার বাড়ীর আজহার মিয়া, ভুঞাবাড়ীর কোববাত মিয়া ও মনা মুখার্জী। ১৯৫৬ সালে জুবিলী দিঘীর পাড়ে মিঞা আবু তাহের ও রেজাউল হাকিমের নেতৃত্বে গড়ে উঠে সবুজ সংঘ। তাদের সহযোগিতা করেন গোলাম রহমান, শশী চক্রবর্তী, অসীম চক্রবতী, মতিলাল নাগ, লাবণ্য সেন গুপ্ত। উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন আবদুল হাকিম উকিল ও কুন্তল কৃষ্ণ মজুমদার। এর পর বিশিষ্ট অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, গোলাম রহমান, হিমাদ্রি, মুখার্জী সহ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তির উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর পাবলিক লাইব্রেরী ও টাউন হলকে সংস্কার করার জন্য ১৯৫৮ খ্রি: একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটির সাধারণ সম্পাদক হলেন রামেন্দু মুজমদার এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক হলেন গোলাম রহমান। তাদের উদ্যোগে ১৯৫৮ খ্রি: দুটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। তখন থেকে পুনরায় লক্ষ্মীপুর জেলায় সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণ পায় বলে ধরে নেয়া যায়। লক্ষ্মীপুর কলেজ ১৯৭৯-৭১ খ্রি: সালাউদ্দিন ভুঁঞার সম্পাদনায় পথের আলো নামে একটি কলেজ বার্ষিকী প্রকাশ করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণে এর সবার মাঝে বিলি করা সম্ভব হয়নি।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এ দেশের সংস্কৃতি নতুন প্রাণ পায়। লক্ষ্মীপুর পাবলিক লাইব্রেরী ও টাউন হল কেন্দ্রিক নাটক, সংগীত, নৃত্যনাট্য বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়া হয়। লোকনাথ দাস, চৌধুরী খুরশিদ আলম, গোলাম রহমান, প্রদীপ কুমার পাল রবি, খলিলুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, জগদীশ চন্দ্র সাহা পঞ্চু, ব্রজেন্দ্র কুমার নাথ, ব­্যাক বাবুল, লুৎফুল হায়দর ভুলু, সুভাষ দেবনাথ, সুবোধ দাস প্রমুখ এ কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় উদ্যোগী তরুন-যুবক সমাজ তৎকালীন থানা সদর সমূহে এবং প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও স্কুল বা ক্লাব ভিত্তিক সংস্কৃতি চর্চায় নিবেদিত ছিল। লক্ষ্মীপুর শহরে পর পর গড়ে উঠতে থাকে সাংস্কৃতিক সংগঠন। এদের মধ্যে প্রায় সব ক’টি উজ্জল আলোয় আলোকিত করে এ অঞ্চলকে অবশ্য কোন কোনটি দু-পাঁচ বছরের মধ্যে ধপ করে নিভে যায়। ১৯৭৪ খ্রিঃ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র ত্রিধারা, নেতৃত্ব দেন ইসমাইল জবিউল্যা, ইব্রাহীম খলিলুল­া, অধ্যাপক ননী-গোপাল ঘোষ, অধ্যাপক জেড এম ফারুকী, প্রদীপ কুমার পাল রবি, অধ্যাপক মোবাশ্বের আহমদ, আবুল মোবারক, ছিদ্দিক উল্যা কবির প্রমুখ। ১৯৭৬ সালে সুরালয় শিল্পী গোষ্ঠী। যদু গোপাল দাস, শামসুল করিম খোকন, মতিলাল নাগ, অলক কুমার কর, আবদুর রহিম এতে ভূমিকা রাখেন। এরপর ত্রিবেদী যার নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দর। ১৯৭৯ সালে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন চক্রবাক প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক খলিলুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসাবে পৌরকল্যান পরিষদ গঠিত হয়। ’৭৯ খ্রিঃ তে মহকুমা এবং ’৮৪ খ্রিঃতে জেলা শিল্পকলা একাডেমী গঠন থেকে জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি চর্চা করে। ১৯৮৫ খ্রিঃ লক্ষ্মীপুর থিয়েটার প্রতিষ্ঠার পর থেকে লক্ষ্মীপুরের সংস্কৃতিতে নতুন জোয়ার শুরু হয়। এর পূর্বে প্রায় ১০ বছর সংস্কৃতির চরম বন্ধাত্বতা ছিল। লক্ষ্মীপুর থিয়েটার গঠনেও প্রাণ সঞ্চারে শামছুদ্দিন ফরহাদ (নোয়াখালী), শহিদ উল্যা খন্দাকার, অধ্যাপক মাইন উদ্দিন পাঠান, এডভোকেট শৈবাল সাহা, জাকির হোসেন ভূঁঞা আজাদ, সেলিম রেজা, মোরশেদ আনোয়ার, দিলীপ চৌধুরী, আবুল হাসেম, মোস্তফা ফারুক বাবুল, আমির হোসেন, মরহুম আলা উদ্দিন, আবুল কালাম আযাদ, জিয়াউর রহমান, মানজুমান আরা, ইসরাত জাহান ইয়াসমিন, নুরনবী কবির, অহিদুর রহমান প্রমুখ ভূমিকা রাখেন। লক্ষ্মীপুর থিয়েটার একমাত্র সংগঠন যা নিরবিছিন্ন ভাবে গত ২৫ বছর নাট্য চর্চা ও প্রশিক্ষন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ১৯৮৯ সালে লক্ষ্মীপুর থিয়েটার তার যোগ্যতা প্রদর্শন করে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সদস্যপদ লাভ করতে সমর্থ হয়। পরবর্তিতে জেলা সদরে নেতৃত্ব দেয়ার মত অনেক নেতৃত্ব সৃষ্টি করে লক্ষ্মীপুর থিয়েটার। যারা হলেন আঃ হোসেন আহাম্মদ, দিলীপ চৌধুরী (স্টার থিয়েটার), বাবর মাহমুদ (সংস্কৃতি সংসদ,২০০৭), মাহবুবুর রহমান (হাইফাই,১৯৯০), টিংকু মলি­ক (বিবর্তন,২০০৯), সিরাজুল ইসলাম ( অনির্বান, ২০০৮), রাফিয়া আম্মার রেশমা ও মাহতাব উদ্দিন আরজু (শতাব্দী ও গীতাঞ্জলী পরিষদ)।

একই সময়কালে সদর ইউ এন ও জাফর আহমদ চৌধুরী, গণপুর্তের ইঞ্জিনিয়ার জিয়া উদ্দিন আহমেদের পৃষ্ঠপোষকতায় লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদ গঠন করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন দিলীপ চৌধুরী, মাইন উদ্দিন পাঠান, সেলিম রেজা, মাহবুবুল বাসার প্রমুখ। এ সংগঠন থেকে নিয়মিত ‘‘প্রচ্ছদ’’ নামে একটি সংকলন প্রকাশ হতো। ১৯৮৪ খ্রিঃ মাইন উদ্দিন পাঠান, শংকর মজুমদার ও এডভোকেট আজগর হোসেন মাহমুদের নেতৃত্বে সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় ‘‘গ্র্যাজুয়েটস ফোরাম’’। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ.ও.ম. সফিক উদ্যোগে উপজেলা কমপ্লেক্সে ১৯৮৬ খ্রি: চালু করেন উপজেলা সঙ্গীত প্রকল্প এবং গোলাম মোরশেদ প্রতিষ্ঠা করেন ফ্রেন্ডস নাট্য গোষ্ঠী। ১৯৮৭ সালে রেজাউল হাকিম ও মোরশেদ চৌধুরীর সহযোগীতায় মাহাবুবুল বাশারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে অনুরাগ শিল্পী গোষ্ঠী। ১৯৮৮ সালে এ্যানি চৌধুরী, আহম্মদ কবির ও নোভেল এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে রিফটার্স ব্যান্ড শিল্পী গোষ্ঠী এবং দিলীপ চৌধুরী ও আবুল হোসেন মাষ্টারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্টার থিয়েটার, লক্ষ্মীপুর।

১৯৯৩ খ্রি: বেলায়েত হোসেন রিপনের উদ্যোগে হাই ফাই কৌতুক শিল্পী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং যদুগোপাল দাস প্রতিষ্ঠা করেন জেলা সঙ্গীত একাডেমী। এছাড়াও ১৯৯৪ খ্রি: জেলা শিশু একাড়েমী লক্ষ্মীপুর গঠিত হয়। পরের বছর মো: শাকিলের নেতৃত্বে গঠিত হয় প্রতিবাদী নাট্য গোষ্ঠী এবং আবদুল্লাহ আল মামুন রিপনের উদ্যোগে ক্রন্দসী শিল্পী গোষ্ঠী এবং ১৯৯৮ সালে অহিদ উদ্দিন রতনের উদ্যোগে শতাব্দি শিল্পী গোষ্ঠি এবং মোঃ রমজানের উদ্যোগে গ্রাম থিয়েটার। ১৯৯৯ সালে মহিন উদ্দিন পাঠান উদ্যোগে আবৃত্তি সংসদ গঠিত হয়। গাজী গিয়াস রতনের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর জেলা সাহিত্য সংসদ এবং ফরিদা ইয়াছমিন লিকার উদ্যোগে লহরী শিল্পী গোষ্ঠী। ১৯৯৯ সালে অলক কুমার করের উদ্যোগে নজরুল সঙ্গীত একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালে আবদুল কুদ্দুসের উদ্যোগে রূপকথা শিল্পী গোষ্ঠী। ২০০১ সালে ‘‘অনন্ত কবিতা পরিষদ। ২০০২ সালে নাহিদের উদ্যোগে নিক্কন আবৃত্তি সংসদ। ২০০৩ সালে ড্যানী চৌধুরী শাকিক এর উদ্যোগে বেলায়েত হোসেন রিপন, নিজাম উদ্দিন বাবর এর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে শিল্পী ফোরাম লক্ষ্মীপুর। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মোহনা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ২০০৭ সালের বাবর মাহমুদ ও সাইফুল ইসলাম তপনের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর সাংস্কৃতিক সংসদ। ২০০৮ সালে সাইফুল মনির বেলাল ও সায়েদ হোসেন নিক্সনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে উদয়ন শিল্পী গোষ্ঠী।

যে সব কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের দেশ জুড়ে জেলায় শাখা রয়েছে তার তালিকাঃ

জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা শিশু একাডেমী, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী, উদীচি শিল্পী গোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, নন্দীনি সাহিত্য পাঠ চক্র, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক কমান্ড, নজরুল একাডেমী, জাতীয় কবিতা পরিষদ, কমিউনিটি পুলিশিং সাংস্কৃতিক কমিটি।

এ জেলায় গর্ভধারণ করে আছেন অসংখ্য প্রথিতযশা ব্যক্তিগণ যারা দেশেবিদেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুনামের সাথে অবস্থান করেছিলেন এবং করছেন, তারা হলেন, অভিনেতা মরহুম মোজাম্মেল হোসেন বাচ্চু, অভিনেত্রী মরহুম রোজী আফসারী, প্রখ্যাত লেখক ও কলামিষ্ট মরহুম ছানা উল্যা নুরী, অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, অভিনেত্রী দিলারা জামান, অভিনেতা এটিএম শামসু জামান, নায়ক মাহফুজ আহমেদ, নাট্যকার, অভিনেতা ও ডকুমেন্টারী ফ্লিম মেকার বাবুল বিশ্বাস, উপস্থাপক ইব্রাহিম ফাতেমী, পরিচালক ইসমাইল হোসেন, পরিচালক অরন্য আনোয়ার, অভিনেত্রী ও মডেল কন্যা তারিন, অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ, মডেল কন্যা তৃষা, চিত্র নায়িকা দোয়েল, চিত্র নায়ক সুব্রত, শিশু মডেল দিঘি, মডেল ও অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু, কণ্ঠ শিল্পী মাহবুব হোসেন মোহন ও ক্লোজ আপ ওয়ান শীর্ষ দশ তারকার একজন লক্ষ্মীপুরের ইদ্রিছ আনোয়ার পরান।